• GAMC- Slide
  • GAMC- Slide
  • GAMC- Slide

About দারুল উলুম জাহাঙ্গীর আলম কওমী মাদ্রাসা:


দারুল উলুম জাহাঙ্গীর আলম কওমী মাদ্রাসা: দ্বীনি শিক্ষার এক অবিস্মরণীয় পথচলা
​দারুল উলুম জাহাঙ্গীর আলম কওমী মাদ্রাসা শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি আদর্শিক ও ইসলামী দ্বীনি শিক্ষার একটি মজবুত ভিত্তি। এর প্রতিষ্ঠা এই অঞ্চলের মানুষের জন্য ছিল এক বিরাট মাইলফলক। 

যখন প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়, তখন অত্র ৩নং লক্ষীরচর ইউনিয়ন তথা জামালপুর সদরে কওমী ধারার এমন কোনো পূর্ণাঙ্গ মাদ্রাসা ছিল না। এই শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে, গভীর নিষ্ঠা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি কেবল এলাকার মানুষের আকাঙ্ক্ষা নয়, বরং এটি হলো আল্লাহ তা'আলার অশেষ রহমত এবং এলাকাবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, ত্যাগ ও সম্মিলিত মোনাজাতের এক জীবন্ত ফসল।

৩নং লক্ষীরচরে আমরা প্রথম যারা ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা করিয়ে থাকি। তাছাড়া আমাদের প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামরা দ্ভারা সাবক্ষণিক তদারকি করারেনা হয়।যা অন্যনা মাদ্রাসা থেকেএকদম ব্যতিক্রম। 

দারুল উলুম জাহাঙ্গীর আলম কওমী মাদ্রাসা: দ্বীনি শিক্ষার আলোর মিনার ও আধুনিকতার সমন্বয়

 

দারুল উলুম জাহাঙ্গীর আলম কওমী মাদ্রাসা বাংলাদেশের দ্বীনি শিক্ষা জগতে একটি উজ্জ্বল নাম, যা কেবল ঐতিহ্যবাহী ইসলামী জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র নয়, বরং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জামালপুর সদর উপজেলার ৩নং লক্ষীরচর ইউনিয়নে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটি অত্র অঞ্চলের মানুষের জন্য দ্বীনি ও আদর্শিক শিক্ষার এক মজবুত ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে। এটি শুধু একটি শিক্ষালয় নয়, বরং দূরদর্শিতা, নিষ্ঠা এবং কমিউনিটির সম্মিলিত ত্যাগের এক জীবন্ত ফসল।

 

ঐতিহাসিক পটভূমি ও প্রতিষ্ঠা

 

দারুল উলুম জাহাঙ্গীর আলম কওমী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস অত্র অঞ্চলের শিক্ষাগত শূন্যতা পূরণের এক দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত। একসময় জামালপুর সদর এবং বিশেষত ৩নং লক্ষীরচর ইউনিয়নে কওমী ধারার কোনো পূর্ণাঙ্গ মাদ্রাসার অস্তিত্ব ছিল না, যেখানে এলাকার ছেলেমেয়েরা নির্ভরযোগ্য ইসলামী শিক্ষা লাভ করতে পারত। এই বিরাট শূন্যতা অনুভব করে এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষ ও বিদ্যানুরাগীরা গভীরভাবে চিন্তিত হন।

এই শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে, গভীর নিষ্ঠা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠা ছিল আল্লাহ তা'আলার অশেষ রহমত এবং এলাকাবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, ত্যাগ ও সম্মিলিত মোনাজাতের ফল। এটি শুধু একটি ভবন নির্মাণ ছিল না, বরং ছিল এলাকার ধর্মীয় ও সামাজিক চেতনার এক ঐতিহাসিক জাগরণ। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লক্ষীরচর ইউনিয়নে দ্বীনি শিক্ষার এক নতুন অধ্যায় সূচিত হয়, যা অগণিত শিক্ষার্থীকে সুনাগরিক ও আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পথ খুলে দেয়।

 

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের জীবন ও অবদান

 

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলহাজ্ব মোঃ জাহিদুল ইসলাম আলমগীর সাহেব এই প্রতিষ্ঠানের প্রাণপুরুষ। তাঁর নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ, দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সুনিপুণ ব্যবস্থাপনা এই মাদ্রাসাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে।

আলমগীর সাহেব একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক এবং শিক্ষানুরাগী হিসেবে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তোলার পেছনে। প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে, প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি তাঁর স্বপ্নের স্পর্শ এঁকে দিয়েছেন। ব্যক্তিগত কষ্ট, শ্রম ও মেধা ব্যয় করে তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দারুল উলুম জাহাঙ্গীর আলম কওমী মাদ্রাসা অল্প সময়েই স্থানীয় এবং বৃহত্তর পরিসরে আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি কেবল একজন পরিচালক নন, বরং শিক্ষক, অভিভাবক এবং কমিউনিটির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর মতো নেতার কারণেই প্রতিষ্ঠানটি ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধের সঙ্গে আধুনিক ব্যবস্থাপনার সমন্বয় ঘটাতে সক্ষম হয়েছে।

 

শিক্ষা কার্যক্রম ও কারিকুলাম

 

দারুল উলুম জাহাঙ্গীর আলম কওমী মাদ্রাসা ঐতিহ্যবাহী কওমী ধারার পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে, যা ইসলামের মৌলিক জ্ঞান, যেমন—কুরআন, হাদীস, ফিকহ (ইসলামী আইন), আরবী ভাষা ও সাহিত্য, এবং আক্বাইদ (বিশ্বাস) এর উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়। তবে, এই প্রতিষ্ঠানটি গতানুগতিক কওমী মাদ্রাসার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে।

দ্বীনি শিক্ষা: এখানে শিক্ষার্থীরা কুরআন মুখস্থ (হিফজুল কুরআন), তাফসীর, হাদীসের বিশুদ্ধ জ্ঞান, ফিকহ এবং ইসলামী ইতিহাসের গভীর জ্ঞান লাভ করে।

সাধারণ শিক্ষা: দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রয়োজনীয় সাধারণ শিক্ষাও নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়, যাতে তারা জাতীয় পর্যায়েও প্রতিযোগিতায় সক্ষম হতে পারে।

নৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষা: মাদ্রাসার মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদেরকে কেবল জ্ঞান দান করা নয়, বরং তাদের মধ্যে উন্নত নৈতিক চরিত্র, ইসলামী আদব-আখলাক এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা।

 

 ডিজিটাল ও সিসি ক্যামেরা প্রযুক্তির ব্যবহার

 

দারুল উলুম জাহাঙ্গীর আলম কওমী মাদ্রাসার সবচেয়ে বড় ব্যতিক্রমী দিক হলো আধুনিক প্রযুক্তির প্রতি তাদের ইতিবাচক মনোভাব এবং সেগুলোর কার্যকর ব্যবহার। তারা এই অঞ্চলের দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আধুনিকায়নে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা: ৩নং লক্ষীরচর ইউনিয়নে এটিই প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যারা ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, প্রোজেক্টর এবং অন্যান্য ডিজিটাল সরঞ্জাম ব্যবহার করে পাঠদান প্রক্রিয়াকে আরও আকর্ষণীয়, কার্যকর ও বোধগম্য করে তোলা হয়। এটি শিক্ষার্থীদের দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করে।

সিসি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক তদারকি: মাদ্রাসার অভ্যন্তরে ও বাইরের পরিবেশ সিসি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক তদারকির আওতায় আনা হয়েছে। এটি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষকদের পাঠদানে অধিক মনোযোগী হতে উৎসাহিত করে। এই স্বচ্ছ ও সুরক্ষিত পরিবেশ অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী কওমী মাদ্রাসা থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে একদম ব্যতিক্রমী করে তুলেছে এবং অভিভাবকদের মাঝে আস্থার সৃষ্টি করেছে।

 

সমাজের উপর মাদ্রাসার প্রভাব

 

দারুল উলুম জাহাঙ্গীর আলম কওমী মাদ্রাসা অত্র অঞ্চলের সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনে এক সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে:

শিক্ষার প্রসার: এলাকার দরিদ্র ও সাধারণ মানুষের জন্য সুলভে মানসম্মত ইসলামী শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

চরিত্র গঠন: মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা লাভ করা শিক্ষার্থীরা সমাজের বিভিন্ন স্তরে আদর্শবান, চরিত্রবান ও ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী নাগরিক হিসেবে অবদান রাখছে।

নেতৃত্ব সৃষ্টি: প্রতিষ্ঠানটি এমন ধর্মীয় পণ্ডিত ও নেতৃত্ব তৈরি করছে, যারা সমাজে সঠিক ইসলামী দিকনির্দেশনা দিতে সক্ষম।

আধুনিকতার বার্তা: প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে মাদ্রাসাটি প্রমাণ করেছে যে, ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা ও আধুনিকতা একে অপরের পরিপূরক হতে পারে, যা সমাজের আধুনিকায়নকে উৎসাহিত করে।

 

ভবিষ্যত পরিকল্পনা

 

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলহাজ্ব মোঃ জাহিদুল ইসলাম আলমগীর সাহেব এবং মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ সবসময় ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে কাজ করছেন। তাদের প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে:

শিক্ষাকার্যক্রমের মান আরও উন্নত করা এবং এটিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত করে তোলা।

সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষার সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ আধুনিক ইসলামী কমপ্লেক্স তৈরি করা।

এলাকার নারীদের জন্য পৃথক দ্বীনি শিক্ষা শাখা চালু করা।

ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়িয়ে একটি আধুনিক লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা।

দারুল উলুম জাহাঙ্গীর আলম কওমী মাদ্রাসা একাধারে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক সফল মিলনক্ষেত্র। প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলহাজ্ব মোঃ জাহিদুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের ঐকান্তিক চেষ্টা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি লক্ষীরচর ইউনিয়নে দ্বীনি শিক্ষার এক অবিস্মরণীয় পথচলা তৈরি করেছে। তাদের ডিজিটাল উদ্যোগ এবং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রমাণ করে যে, দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমাজের চাহিদা পূরণে সক্ষম। এই মাদ্রাসা কেবল জ্ঞান বিতরণের কেন্দ্র নয়, বরং আদর্শিক চেতনা ও সামাজিক পরিবর্তনের এক শক্তিশালী প্রতীক।
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলহাজ্ব মোঃ জাহিদুল ইসলাম আলমগীর সাহেব এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তোলার পেছনে যে কষ্ট, শ্রম ও মেধা ব্যয় করেছেন, তা সত্যিই অনুসরণীয়। প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে, প্রতিটি ইট-পাথরে তাঁর স্বপ্নের স্পর্শ এঁকে দিয়ে, তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে আজকের সাফল্যের এই সুউচ্চ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। তাঁর নিঃস্বার্থ নেতৃত্ব এবং সুনিপুণ ব্যবস্থাপনা দারুল উলুম জাহাঙ্গীর আলম কওমী মাদ্রাসাকে একটি আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।